হবিগঞ্জ, ২২ মে : সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন উজার, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, পরিবেশ বিনষ্ট কার্যক্রম বেড়ে গেছে। যেজন্য পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়ছে দিনের পর দিন। প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
আজ ২২ মে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা ও প্রচারপত্র বিলির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, হবিগঞ্জ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় "বাস্তবায়ন করি অঙ্গীকার, জীববৈচিত্র্য হবে পুনরুদ্ধার"।
সকাল সাড়ে ১০ টায় বৃন্দাবন সরকারি কলেজ সংলগ্ন প্রাঙ্গনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাপা হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক মো: ইকরামুল ওয়াদুদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হবিগঞ্জ ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাপা হবিগঞ্জের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও লোক গবেষক অধ্যাপক জাহান আরা খাতুন, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস বখত চৌধুরী জালাল, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন, বিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষ সৈয়দা রওশন সুলতানা, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শোয়েব চৌধুরী, ডা: আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, এডভোকেট শায়লা খান, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জের বন কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী। শুরুতে ধারণা বক্তব্য রাখেন ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় করেন বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল। আলোচনা সভা শেষে একটি শোভাযাত্রা বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে গিয়ে শেষ করা হয়। এসময় পথচারী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী অবিভাবক এর মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করা হয়।
বাপা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা - কালেঙ্গা অভয়ারণ্য, লক্ষ্মী বাউর জলার বন, পাহাড় টিলা কাটা, বন উজাড়, শিল্পবর্জ্য দূষণে জলজ জীববৈচিত্র ধ্বংস ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হবিগঞ্জের রেমা -কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান জীববৈচিত্রের দিক দিয়ে দেশে অনন্য। সবার সহযোগিতায় এখানকার জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan